ডিস্ক ব্রেক ভালো নাকি ড্রাম ব্রেক ?
বর্তমান পৃথিবীতে প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে মোটরসাইকেল অনেক বেশি দ্রুতগামী ও শক্তিশালী হচ্ছে । অনেকে ভ্রমনের এর জন্য উচ্চগতি সম্পন্ন মোটরসাইকেল ব্যবহার করে থাকেন।
বর্তমানে রাস্তা গুলো ফ্লাট ও উয়াইড করে তৈরি করা হয় যার কারনে খুব দ্রুত ভ্রমনে করা যায় । তবে বাংলাদেশের মতো দেশে রাস্তা কতটা সমতল বা প্রশস্ত হবে সঠিক বলা যাবে না যেকোনো সময় মোটরসাইকেল জাম্প করতে পারে তা ঠিক করে বলা যাবে না। পুরো পৃথিবীতে জুড়ে প্রায় সবাই একই মানের ব্রেক ব্যবহার করতে পারে এই ক্ষেত্রে কোন বিধি নিষেধ নেই।যখন বাইকটি গতিময় থাকে তখন তাকে থামানোর জন্য সেই ধরনের ব্রেকিং এর ক্ষমতা থাকতে হয় ।দুই ধরনের ব্রেক আছে - ডিস্ক ব্রেক এবং ড্রাম ব্রেক । অনেক চালকের কাছেই ডিস্ক ব্রেক এবং ড্রাম ব্রেক নিয়ে অনেক বিশৃঙ্খলা রয়েছে।তাই আজকে আমরা আপনাদের সামনে ডিস্ক ব্রেক বনাম ড্রাম ব্রেক নিয়ে আলোচনা করবো ।
ডিস্ক ব্রেক Vs. ড্রাম ব্রেক এর পার্থক্য -
ডিস্ক ব্রেক Vs. ড্রাম ব্রেক এর পার্থক্য জানার আগে ব্রেক সিস্টেম সম্পর্কে দিয়ে নেই।
ব্রেক হচ্ছে এমন একটি ডিভাইস যা গতিশীল কোন মোটরচালিত যান কে থামানোর জন্য ব্যাবহার করা হয় । ব্রেক ডিভাইস গতিশক্তিকে অন্য শক্তিতে ট্রান্সফার করে থাকে।
চাকার ঘূর্ননের ফলে যে কাইনেটিক শক্তি থাকে তা তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয় এবং ব্রেক প্যাড কন্টাক সারফেসের ঘর্ষনের কারনে। যেকোনো ব্রেকের কর্মক্ষমতা নির্ভর করে কতোটা কাইনেটিক শক্তিকে তাপ শক্তিকে রুপান্তর করতে পারে এবং কতটা তাপ শোষন করতে পারে। দেখুন ডিস্ক ব্রেক ও ড্রাম ব্রেক এই ব্রেক ডিভাইস কি দুটি সিস্টেম কি কাজ করে থাকে।
ড্রাম ব্রেক পদ্ধতি -
ড্রাম ব্রেক সিস্টেম এর নাম শুনে মনে হচ্ছে এই ব্রেক সিস্টেম দেখতে অনেকটা ড্রামের মত হবে । এই ব্রেক সিস্টেম গাড়ির চাকার সাথে সাথে মুভ করে। ড্রাম ব্রেক সিস্টেম এর ২টি অংশ হচ্ছে ব্রেক প্যাডস এবং পিস্টন। যখন এই ব্রেক টি চেপে ধরা হয়ে থাকে তখন ব্রেক ফ্লুইড পিস্টন এর বিরুদ্ধে চাপ প্রয়োগ করে, যেন পিস্টন ব্রেক সো কে স্পিনিং ড্রাম এর সাথে চেপে ধরে ।
ডিস্ক ব্রেক পদ্ধতি -
ডিস্ক ব্রেক একটি ঘূর্ণমান ডিভাইস যা চাকার সঙ্গে বরাবর ঘোরে। ব্রেক প্যাডগুলি ডিস্কের উভয় পাশে উপস্থিত থাকে, যা ব্রেকটির বিরুদ্ধে চাপলে গাড়িটি বন্ধ হয়ে যায়। ডিস্ক ব্রেকের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় ডিস্ক ব্রেকে ছোট ছোট হোল দেয়া থাকে যেন ব্রেক গরম হলেও বাতাস চলাচল করতে পারে। কিন্তু ড্রাম ব্রেক গরম হলেও বাতাস চলাচল করতে পারে না। যেসব মোটরসাইকেলে ড্রাম ব্রেক চাপতে হয় সেই ব্রেক এ ঘর্ষন জনিত কারনে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয় ফলে বেশি শক্তি প্রয়োগ করা হয় মোটরসাইকেল কে থামানোর জন্য। ডিস্ক ব্রেকে যখন ব্রেক প্যাডেল প্রয়োগ করা হয় তখন ব্রেক তরল চাপ পিস্টনকে ডিস্কের বিপরীতে ব্রেক প্যাডগুলি চাপিয়ে দেয় ফলে শক্তির রূপান্তর ঘটে এবং গাড়ির একটি থেমে যায়।
ড্রাম ব্রেক সিস্টেমে আরো বড় একটি অসুবিধা হলো পানিতে প্রায় সময়ই ড্রাম ব্রেক কম কাজ করে। কিন্তু ডিস্ক ব্রেইকের ক্ষেত্রে ব্রেক রক্ষনাবেক্ষন সবচেয়ে সহজ আর এদের স্টপিং শক্তি ও অনেক বেশি। আর একটি বড় সুবিধা হলো এর মেনুফেকচার খুব কম খরচে করা যায় এবং উন্নত ব্রেক সিস্টেম যা সহজেই গাড়ি কে বন্ধ করে দিতে পারে। আর ড্রাম ব্রেকের একটা সুবিধা সেটি সল্প খরচেই তৈরি করা হয় ।
তো পাঠকেরা আজকে এই পর্যন্তই ডিস্ক ব্রেক বনাম ড্রাম ব্রেক সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা পেয়েছেন। আমাদের ওয়েব সাইটের আপডেট পেতে সাইটটি ভিজিট করুন এবং ফেসবুক ফ্যান পেজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন । সবাইকে ধন্যবাদ।
You might like:
মোটরসাইকেলের ব্রেক সিস্টেম কি ?
মোটরসাইকেলের মাইলেজ কি ?
0 Comments: