মাইলেজ বৃদ্ধির উপায় ও মাইলেজ কমার কারন জেনে নিন -
আপনি যখন কোন মোটরসাইকেল ক্রয় করতে যান তখন আপনার মাথায় সব সময় প্রায় বাইকের মাইলেজ কথা চিন্তা করেন । কারন অতিরিক্ত মাইলেজের একটা বাইক খরচ বহন করতে অনেক কষ্টসাধ্য হতে পারে । মাইলেজের উপর ডিপেন্ড করেই বাইক ক্রয় করা ও চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। সকারণ , একটা বাইকের কম মাইলেজ মানেই বাইকটির রানিং খরচ অনেক বেশি ।একেক ব্র্যান্ডের বাইকের মাইলেজ খরচ একেক রকম । অনেক সময় দেখা যায়, ভালো ব্র্যান্ডের বাইকের মাইলেজ খরচ একটু বেশী হয়ে থাকে । বাইকের সর্বোচ্চ মাইলেজ পাওয়ার উপরে যেমন বাইকের ওপর নির্ভর করে তেমনি বাইকের মালিকের যত্নের ওপর ও নির্ভর করে মাইলেজ । সঠিক সময় বাইকের টিউনিং এবং সার্ভিসিং না করালে মাইলেজ মনের মত হবে না । বাইকের ইঞ্জিনের স্বাস্থ্য সরাসরি মাইলেজের ওপর প্রভাব ফেলে।
এখন গোপন একটি প্রশ্ন হচ্ছে , কিভাবে আপনার প্রিয় মোটরসাইকেল এর মাইলেজ বাড়ানো যায় ? এখন আপনাদের কাছে সেই মাইলেজ বাড়ানোর গোপন টিপসটি শেয়ার করবো -
আমাদের প্রথমত জানতে হবে কেন আমাদের শখের বাইকের মাইলেজ কমে যাচ্ছে সেই বিষয়টা। এখন আপনি নিশ্চয় ভাববেন আপনার শখের বাইকটি নিয়ে মেকানিকের কাছে গিয়ে কার্বুরেটরের তেলের রেঞ্জ কমিয়ে দিবেন । কার্বুরেটর থেকে তেলের রেঞ্জ কমিয়ে দেওয়ার আগে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো পরিক্ষা করে নিতে পারেন -
১. মোটরসাইকেল এর চাকা সঠিকভাবে ঘুরছে কিনা পরিক্ষা করুন । প্রায় সময়ই ব্রেক অতিরিক্ত টাইট থাকার কারনে চাকা জ্যাম হয়ে থাকে যার কারনে চাকা সঠিক ভাবে ঘুরতে চাই না ।
আবার মাঝেমধ্যে চাকার বেয়ারিং ভেঙ্গে গেলেও চাকা জ্যাম হয়ে থাকে যার ফলে চাকা কম ঘুরে ।
২. দুর্বল পিস্টনের রিঙ্গের কারনে অনেক সময় বাইকের মাইলেজ কমে যায় । আপনার শখের বাইকে সমস্যা থাকলে পিস্টন চেম্বার এ ইঞ্জিন অয়েল চলে আসে আর পেট্রোলের দাহ্যগুন কমিয়ে দেয় যার ফলে ইঞ্জিন এর শক্তি কমে যায় এবং মাইলেজের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে এবং মাইলেজ কমে যায় ।
৩. বাইকে মাইলেজ কমিয়ে দেওয়ার একটি বড় কারন হচ্ছে ভালভ ক্লিয়ারেন্স শক্তি । মাত্রাতিরিক্ত ভালভ টাইট দেওয়ার ফলে ইঞ্জিন এর শক্তি কমে যায় ঠিকই , বেশী প্রভাব পরে টাইমিং চেইনের ওপর । ইঞ্জিন এর মধ্যকারের ফলে ফ্রিকশন বেড়ে যায় এবং ইঞ্জিন এর সহজভাবে ঘুরতে বাঁধার সৃষ্টি হয় । বাইকের কার্যক্ষমতা ও মাইলেজ ততটা বৃদ্ধি পাবে যতটা ভালভ নিখুঁত হবে ।
৪. কার্বুরেটর এবং কার্বুরেটরের সেটিং স্ক্রু অনেক নরম হয়ে থাকে । কার্বুরেটর অনভিজ্ঞ মেকানিক দ্বারা টিউন করলে বাইকের মাইলেজ কমে যায় । তাই অবিজ্ঞ মেকানিক দ্বারা কার্বুরেটর টিউন করাবেন ।
৫. ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন অয়েল এবং সঠিক মাপের চাকা ব্যাবহার না করলে মাইলেজ কমে যায় ।মোটরসাইকেল ক্রয় করার পর নতুন অবস্থাতে একটু কম মাইলেজই পাওয়া যায় , ১৫০০ - ২০০০ কিলোমিটার চালনার পর ৩ - ৪ বার সার্ভেসিং করলে আস্তে আস্তে মাইলেজ বাড়তে থাকে ।
মাইলেজ বৃদ্ধির গোপন কয়েকটি টিপস মনে রাখবেন -
১. নিয়মিত কার্বুরেটর পরিষ্কার রাখতে হবে কারন ময়লা জমে ফ্লট বল নিডল জ্যাম হয়ে থাকে । এর ফলে মাইলেজ কমে যায় এবং জ্বালানি খরচ বৃদ্ধি পায় । কার্বুরেটর এ যেন ধুলোবালি না জমে সেইদিকে খেয়াল রাখতে হবে ।
২. ভালভ অপরিষ্কার থাকলে এয়ার ফিলটার সমস্যা হয় যার ফলে ইঞ্জিন বেশী জ্বালানি খরচ করে থাকে ।
৩. বাইকের গতি বজায় রেখে গিয়ার চেঞ্জ করলে মাইলেজ বৃদ্ধি পায় ।
৪. বাইকটি স্টার্ট দেওয়ার পরে প্রথম ৪০০ মিটার এ অধিক গতি উঠাবেন না প্রথমে গতি কম উঠালে মাইলেজ বৃদ্ধি পাবে ।
৫. সঠিক নিয়মে ক্লাচ এবং ব্রেক ব্যাবহার করলে জ্বালানি সাশ্রয় হয় ।
৬. ট্রাফিক সিগন্যাল এ পরলে / প্রচুর জ্যাম পরলে বাইকের স্টার্ট বন্ধ করে রাখুন ।
৭. উন্নতমান ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যাবহার করুন ।
৮. ব্র্যান্ডের প্লাগ ব্যাবহার করেন ।
উপরের বিষয় গুলো মেনে চললে মাইলেজ বৃদ্ধি এবং বাইকের কার্যক্ষমতা ঠিক থাকবে । আমাদের পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার এবং কমেন্ট করবেন । ধন্যবাদ
gooood কিন্তু বাইক বন্ধ করে বারবার স্টাট দিলে তেল ⛽ খরচ বেশি হবে না
ReplyDelete